সুপ্তধারা ঝর্ণা ও সহস্রধারা ঝর্ণা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। সুপ্তধারা ঝর্ণায় অনেকগুলো গ্রুপে পানি পড়ে, আর সহস্রধারা ঝর্ণায় একটি গ্রুপে পানি পড়ে। দুটা ঝর্ণার প্রকৃত রূপ উপভোগ করতে গেলে বর্ষায় আসতে হবে। এই ঝর্ণাগুলোতে কোন দুর্ঘটনা নেই। পাহাড় পিচ করা আছে চাইলে সিএনজি ব্যবহার করতে পারেন। শুধু কষ্ট করে ৭০/৮০ ধাপ সিড়ি বেয়ে নিচে আর উপড়ে উঠতে হবে। শুরুতেই ৩০ টাকা করে টিকেট কিনতে হবে জনপ্রতি। কষ্টহীন, দুর্ঘটনাহীন ট্রেইল হল এই দুটি ঝর্ণা সুপ্তধারা ঝর্ণা ও সহস্রধারা ঝর্ণা। সুপ্তধারা ঝর্ণা আগে পড়ব, কিছুক্ষণ হাটলেই সুপ্তধারা ঝর্ণা পাওয়া যাবে। সিএনজি চালকগুলো ভাড়া পাওয়ার জন্য প্রায় ভুল তথ্য দিয়ে থাকে। তারা সহস্রধারা ঝর্ণায় নিয়ে যায়। ভাড়াও বেশি রাখে। অথচ সুপ্তধারা ঝর্ণা সুন্দর সহস্রধারা ঝর্ণা থেকে। সুপ্তাধারায় যাওয়ার পথে ইকো পার্কের এই রাস্তাটির বিশেষত্ব হলো, কিছুক্ষণ পরপর বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা ছোট কবিতা বা কিছু অর্থবহ বিশেষ লাইন এবং সতর্কবার্তা। ২৫-৩০ মিনিট হেটে পৌঁছে যাবেন সুপ্তধারা ঝর্ণার প্রবেশপথে। প্রায় ৪২২টি সিঁড়ি নিচে নেমে যেতে হবে মূল সুপ্তাধারা থেকে প্রবাহিত পাহাড়ী ঝিরিপথের মুখে। সিঁড়ি থেকে নেমে হাতের বাম পাশের ঝিরিপথ ধরে হাটা শুরু করুন। অনেকটা দূর থেকেই সুপ্তধারার পানি শব্দ কানে আসবে।
সুপ্তধারা থেকে আরও ২০-৩০ মিনিট হাঁটলে সহস্রধারার সিঁড়িপথ। সেখানে সিঁড়ি প্রায় ৪৮৭টি হলেও সুপ্তধারারর সিঁড়ির মত এবড়োখেবড়ো নয়। আর কোন ঝিরিপথও পাড়ি দিতে হবে না। সিঁড়ি থেকে নেমেই দেখতে পাবেন অনেক উঁচু থেকে পতিত হওয়া অবিরাম সহস্রধারা। তুলনামূলক ভাবে সুপ্তধারা থেকে অনেক সহজ।
কিভাবে যাবেন
প্রথমে আপনাকে চট্টগ্রাম আসতে হবে। যদি কাছে থাকতে চান সীতাকুন্ড বাজারে থাকতে পারেন, এখানে থাকার হোটেল আছে। চট্টগ্রাম শহরে থাকতে চাইলে একেখান, অলংকার, নিউমার্কেট এলাকগুলোতে থাকতে পারেন।
যদি আপনি সীতাকুন্ড বাজারে থাকেন তাহলে সকাল বেলা ১০ টাকা দিয়ে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক চলে যেতে পারবেন। আর চট্টগ্রাম শহরে থাকলে প্রথমে অলংকার আসতে হবে। অলংকার থেকে ১৭ বা ৮ নম্বর বাসে করে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ৪০ টাকা ভাড়া নিবে। তাছাড়া অলংকার থেকে অন্যান্য গাড়ি আছে যেমন চয়েস, উত্তরা।
সীতাকুন্ড ইকোপার্ক মেইন রোড থেকে সিএনজি করে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক গেইটে আসতে পারেন বা হেটেও আসতে পারেন।