চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৫ কিঃমিঃ দূরত্বে সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণাংশে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন অবস্থিত। সবুজ পাহাড়, স্ফটিকের মত স্বচ্ছ লেকের পানি, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত গলফ কোর্স এসবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্রে ভরপুর ভাটিয়ারী। সম্পূর্ণ অঞ্চলটি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব উন্নত। ভাটিয়ারী সান সেট পয়েন্টে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে ভাল লাগার মূর্ছনায় ভরিয়ে তোলে। ভাটিয়ারী লেকটি দেখতে অনেকটা সাপের মতো এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে। সূর্য্যের সোনালী আলো লেকের জলে প্রতিফলিত হয়ে যেন সোনার মত চকচক করে। বর্ষা কালে ভাটিয়ারী লেকের উপচে পড়া পানি আপনাকে শিহরিত করবে একই সাথে পাহাড় এবং পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত আপনার মনকে ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট। আপনি চাইলে লেকে নৌকা চড়তে পারবেন এবং নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে লেকের পানিতে ছিপ দিয়ে মাচ শিকার করতে পারবেন। মোট কথা শহরের খুব কাছেই আপনার সময়টি অসাধারণ কাটবে। ভাটিয়ারী বাসষ্টেন্ড থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে সমতল থেকে অনেক ওপরে এ লেকের অবস্থান। অনেক পাহাড়ের পাদদেশে জমে থাকা পানি থেকেই এখানে লেকের উৎপত্তি হয়েছে। ততটা চওড়া না হলেও লেক দুটি অনেকটা সাপের লেজের মতো এঁকেবেঁকে চলে গেছে অনেক দূর। সেনা বাহিনী চালিত স্পীড বোটগুলো ৩০০ টাকায় রিজার্ভ নিয়ে ওদের নির্ধারিত এলাকায় ঘুরে আসা যায় বিশ মিনিটে। প্যাডাল চালিত বোট নিলে ঘন্টায় দিতে হবে ১০০ টাকা, সেক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছে মতো যতো ঘন্টা ইচ্ছে যেখানে ইচ্ছে বোট নিয়ে ঘুরা যায়। চাইলে নির্ধারিত ফি দিয়ে বড়শি দিয়া মাছ ও ধরা যায়। তবে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা একটু বিপদজ্জনক। কয়েকদিন আগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক লোকের। পানির তলদেশ থেকে কোন প্রাণী টান দিয়েছে, ফলে লোকটি পানিতে তলিয়ে গিয়ে মূত্যুবরণ করেন।
কিভাবে যাবেন
প্রথমে আপনাকে চট্টগ্রাম আসতে হবে। যদি কাছে থাকতে চান ভাটিয়ারী বাজারে থাকতে পারেন, এখানে থাকার হোটেল আছে। চট্টগ্রাম শহরে থাকতে চাইলে একেখান, অলংকার, নিউমার্কেট এলাকগুলোতে থাকতে পারেন।
আর চট্টগ্রাম শহরে থাকলে প্রথমে অলংকার আসতে হবে। অলংকার থেকে ৭ বা ৮ বা ১৭ নম্বর বাসে বা লেগুনা করে ভাটিয়ারী ১০ টাকা ভাড়া নিবে। ভাটিয়ারী থেকে সিএনজি আছে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে নিবে। অথবা হেঁটে হেঁটে চলে যেতে পারেন।