Search

খৈয়াছড়া ঝর্ণা, মিরেরসরাই, চট্টগ্রাম

  • Share this:
post-title

খৈয়াছড়া ঝর্ণা পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত এবং সবচেয়ে বিপদজ্জনক বটে। এখানে দুর্ঘটনার হার বেশি। এখানে ছোট বড় অনেকগুলো প্রায় ১৪ টির মত ঝর্ণা আছে। সবগুলো একদিনে দেখার সুযোগ সবার হয় না। খৈয়াছড়া ঝর্ণায় মোট ৯টি বড় ঝর্ণার ধাপ (তথা ক্যাসকেড) ও অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ রয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে এই ঝর্ণার অবস্থান। পাহাড়ের পাদদেশের গ্রামের ভিতর দিয়ে ঝর্ণার মূল ধারা পর্যন্ত পৌছানোর বাকি পথের জন্য কোন যানবাহনের ব্যবস্থা নেই, শুধুমাত্র পায়ে হেটে পৌছানো সম্ভব। খৈয়াছড়া কে বলা হয় বাংলাদেশের ‘ঝর্ণা রাণী‘। ঝর্ণার প্রকৃত রূপ হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকাল ছাড়া আর কোন- উপযুক্ত সময়। যেদিন রাতে বৃষ্টি হবে তারপর দিন সকালে ঝর্ণা রাণীর প্রকৃত রূপ উপভোগ করতে পারবেন। এই ঝর্ণার শুরু থেকে কঠিন পথ।  খৈয়াছড়ায় দুর্ঘটনাস্থলের একটা নাম আছে গরু মরা খাদা। খৈয়াছড়া ঝর্ণা আপনাকে অনেক হাটতে হব, পাহাড়ে চড়তে হবে, পানির মধ্য দিয়ে হাটতে হবে। ৪.২ কিলোমিটারের মধ্যে ১ কিলোমটার সিএনজি করে যেতে পারবেন। বাকি পথ হাটতে হবে। এখানে সকাল বেলা গেলে ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যাবে। পথিমধ্যে অনেক দোকান পাবেন। আপনার রুচিতে যে দোকান ভালো লাগে সেখানে দুপুরের খাবার অর্ডার করে দিয়ে যাবেন। এখানে খাবারের মান ভালো, ঘরোয়া পরিবেশে রান্না।  বাঁশের সাকো, ক্ষেতের আইল, আঁকাবাকা পাহাড়ী পথ, ছরা, অন্তত ৪টি পাহাড় পেরিয়ে যখন ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে পৌছতে হবে ঝর্ণা রাণী খৈয়াছড়া ঝর্ণায়।  ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা বেশ দুর্গম এবং পাথরের যায়গা পিচ্ছিল । তাই সতর্ক হয়ে পথ চলবেন। মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ওই দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা অনেক কঠিন হবে।

এখানেও চাঁদাবাজ আছে। যখন আপনি দেড় কিলোমিটার দুর্গম  পথ হেটে ক্লান্ত তখন দেখবেন বাঁশের ভেড়া তার উত্তর পাশে ছোট্ট একটা ঝুপড়ি। সেখান থেকে জনপ্রতি টিকেট কাটবেন। তারপর বাকি দেড় কিলোমিটার দুর্গম পথ পাড়ি দিবেন। সবসময় আপনি মনে রাখবেন পিচ্ছিল পথে হাটতে গিয়ে পড়ে যাবেন না। পড়লেই মারাত্মক যখম হতে পারেন। হাতে বাঁশ রাখবেন, পানির গভীরতা বুঝে তারপর পা ফেলবেন। চলার সময় কোন পাথর বা চিপায় পা দিচ্ছেন কিনা লক্ষ্য করবেন।

কিভাবে যাবেন

প্রথমে আপনাকে চট্টগ্রাম আসতে হবে। যদি কাছে থাকতে চান সীতাকুন্ড বাজারে থাকতে পারেন, এখানে থাকার হোটেল আছে। কাছাকছি মিরেরসরাই বাজার আছে সেখানেও থাকতে পারবেন। চট্টগ্রাম শহরে থাকতে চাইলে একেখান, অলংকার, নিউমার্কেট এলাকগুলোতে থাকতে পারেন।

যদি আপনি মিরেরসরাই বাজারে বাজারে থাকেন তাহলে সকাল বেলা ১০ টাকা দিয়ে খৈয়াছড়া  চলে যেতে পারবেন। সীতাকুন্ড বাজারে থাকলে ২০/২৫ টাকা দিয়ে  খৈয়াছড়া  আসতে পারবন। আর চট্টগ্রাম শহরে থাকলে প্রথমে অলংকার আসতে হবে। অলংকার থেকে চয়েস, উত্তরা বাসে করে  খৈয়াছড়া  ৫০-৮০ টাকা  ভাড়া নিবে। 

 

 

 

 

 

Yusuf Khalil

Yusuf Khalil